চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার
চুলের যত্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কালকেশী, কেশত্ কেশরাজ এই গাছটিকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে। আপনি কি চুলের যত্নে কালকেশী ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? কালোকেশী ব্যবহারের ফলে চুলের কি কি উপকার হয়? চলুন এই আর্টিকেল থেকে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কালোকেশী যদিও গ্রাম অঞ্চলের মানুষের সাথে অধিক পরিচিত কিন্তু এর গুনাগুন
সম্পর্কে এখনো অনেকের অজানা রয়েছে। কালোকেশীর মধ্যে কি গুণ রয়েছে। কালকেশী
ব্যবহারের মাধ্যমে চুলের কি কি উপকার হয়। শুধু কি চুলের উপকার নাকি আরো
অন্য কোন উপকার রয়েছে? কালোকেশী সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে
বিস্তারিত জানবো।
সূচিপত্রঃ চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার
- কালোকেশী সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য
- কালোকেশীর বৈজ্ঞানিক নাম
- কালকেশী কোথায় পাওয়া যায়
- চুলে কালকেশী ব্যবহারের উপকারিতা
- কালোকেশীর মধ্যে থাকা ঔষধি গুনাগুন
- কালকেশীর মাধ্যমে যে সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি মিলে
- মশা নিধনে কালোকেশী ব্যবহার
- কালকেশী পাতার তেল তৈরি করার নিয়ম
- কালোকেশী কিভাবে চুলে ব্যবহার করবেন
- লেখক এর শেষ মন্তব্য
কালোকেশী সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য
কালোকেশী একটি ঔষধি গুনাগুন সম্পূর্ণ উদ্ভিদ। যার ভেতরে রয়েছে অনেক গুন। যে
গুণগুলি সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানা জানা নেই। যদিও পালকেশী গাছের সাথে আমাদের
খুব ভালো পরিচয় রয়েছে। কেননা কালকেশী গাছ পুকুর পাড়ে রাস্তার পাশে খাল বিলে
নদীর ধারে বা যে কোন জলাশয়ের মধ্যে জন্মায়। কালোকেশী উদ্ভিদটি
বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত।
যেমন-কালোকেশী, কেশরাজ, কলকাতা, কেশব পাতা ইত্যাদি। নাম যেটাই হোক না
কেন এর গুনাগুন কিন্তু একই। আদিকাল থেকেই মা-বোনেরা যত্ন সহকারে কালোকেশী ব্যবহার
করে থাকেন। চুলকে কালো করার জন্য কালোকেশী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে। শুধু চুলকে কালো করায় নয় চুলের যে কোন সমস্যা সমাধান করতে কালোকেশী জুড়ি
মেলা ভার।
কালোকেশীর বৈজ্ঞানিক নাম
কালোকেশের বৈজ্ঞানিক নাম হল False Dasiy (Eclipta alba) এটি অত্যন্ত উপকারী একটি
গাছ। এই গাছ মানুষের চুলের যত্ন ছাড়াও বিভিন্ন কাজে লাগে। কালোকেশী গাছটি
পেতে অনেক বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হয় না। যদিও অনেক সহজ কিন্তু এর গুনগুন বলে
শেষ করা মত নয়। বিভিন্ন এলাকায় এ কাজটিকে বিভিন্ন নামে ডেকে থাকে। চুলের
যত্নে কালকেশী ব্যবহার এবং কালো পিসির গুনাগুন এর উপকারিতা বলে শেষ করা
যাবে না।
আরো পড়ুনঃকুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত?
কালকেশী কোথায় পাওয়া যায়
কালোকেশী উদ্ভিদটি কোথায় পাওয়া যায় এ বিষয়টি নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে।
তবে উক্ত বিষয় নিয়ে আপনাদের চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই এটি কোন দুর্লভ গাছ
নয়। কালোকেশী গাছটি যেখানে সেখানে খুব সহজেই পাওয়া যায়। কেশরাজ বা
কালোকেশী গাছ বাংলাদেশ, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড এবং ব্রাজিলের অধিক পরিমাণে
পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা যেমন বন জঙ্গল, পুকুরের চারপাশ অধিক পরিমাণে এ ঘাসফুল
জাতীয় গাছের দেখা মিলে।এটি অত্যন্ত উপকারী একটি ঘাস ফুলের গাছ যাকে চুলের মহা
ঔষধি বলা হয়ে থাকে। চুলের যত্নে কালো পেশী ব্যবহার এবং কালোকেশীর গুনাগুন অনেক
বেশি হওয়ায় এ গাছটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
চুলে কালোকেশী ব্যবহারের উপকারিতা
ঝলমলে ও কালো সুন্দর চুল কার না পছন্দ। প্রত্যেকে চায় তাদের চুল যেন সুন্দর
ও ঝলমলে হয়ে ওঠে। বিশেষ করে মেয়েরা চাই তাদের যেন লম্বা এবং কালো রঙ্গের ঝলমলে
চুল হয়। তুই যত বেশি ঝলমলে এবং লম্বা হবে দেখতে তত বেশি সুন্দর
লাগবে। এজন্যই প্রত্যেকের চুলের যত্নে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার
করে.
বাজারে বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্ট রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে কিছুটা উপকার হয়।
তবে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে বাজারে বিক্রি কৃত সমস্ত প্রোডাক্ট এর মধ্যে
বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত করা হয়। আর এই কেমিক্যাল এর কারণে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন
ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি চুল পড়া বন্ধ হওয়ার পরিবর্তে চুল পড়া আরো
বেড়ে যেতে পারে।
অনেক সময় এই কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করার কারণে মাথার স্কিনের অনেক
সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমরা চাইলেই ঘরে বসে নিজের চুলের ঘরোয়া ভাবে যত্ন নিতে
পারি। আর কালোকেশী ব্যবহার করে ঘরোয়া উপায়ে চুলকে লম্বা ও ঘন করতে পারবো।
আবার কালকেশী ব্যবহারের মাধ্যমে চুলের খুশকি ও দূর হয়।
তাই আমরা বড় বাজার থেকে বিভিন্ন প্রোডাক্ট ক্রয় না করে চাইলে নিজে ঘরোয়া ভাবে
কালোকেশী ব্যবহার করে চুলকে সুন্দর উজ্জ্বল করতে পারি। কালো কিসের মধ্যে
থাকা ভিটামিন ডি ও ভিটামিন এ চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। মাথা সুস্থ
রাখে এবং মাথার মধ্যে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
কালোকেশীর মধ্যে থাকা ঔষধি গুনাগুন
কালোকেশী শুধু চুলের জন্যই নয় বরং শরীরের বিভিন্ন রোগের মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে
থাকে। আজকাল থেকে নয় প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ বিভিন্ন রোগেরওষুধ হিসেবে কালোকেশী
ব্যবহার করে আসছে। বর্তমানে যদিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষ এখন গাছ-গাছটার ওষুধের
উপর তেমন একটা ভরসা করতে পারেনা। এখন সবাই কোন কিছু হলেই ওষুধ নিয়েই
মহাব্যস্ত। পূর্বেকার দিনগুলোতে এত ডাক্তার বা ওষুধ ছিল না।
কবিরাজ বা বদ্দিগণেরা বিভিন্ন গাছ থেকে বিভিন্ন রোগের ঔষধ বানিয়ে দিতেন। আর
মানুষ সেটার উপর বিশ্বাস রেখে গাছের নিচে আসবা পাতা বেটে খেতেন এবং রোগ থেকে
মুক্তি লাভ করতেন। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা মতে কাশির জন্য কালকেশীর পাতা বেটের রস
করে খেলে কাশি থেকে উপশম পাওয়া যায়। এছাড়াও শরীরের কোথাও কেটে
গেলে কালো কেশীর পাতা বেটে কাটা ধানের ভালোভাবে লাগিয়ে দিতে হবে তাহলে অতি
তাড়াতাড়ি কাটা স্থান শুকিয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমানোর উপায় এবং কার্যকর পদ্ধতি
কালকেশীর মাধ্যমে যে সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি মিলে
কালোকেশী হচ্ছে একটি ঔষধি গুনাগুন সম্পূর্ণ গাছ। আয়ুর্বেদিক দের মতে এই ছোট
গুল্ম জাতের উদ্ভিদের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জটিল থেকে জটিলতম রোগের সমাধান
মিলে। তাই তো আয়ুর্বেদিক ওষুধের মধ্যে কালোকেশী অনেক বেশি ব্যবহার করতে
দেখা যায়। কালোকেশীর মাধ্যমে যে সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা
নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ-
- মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া।
- লিভারের সমস্যা দূর করে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
- কাটা ঘা দ্রুত শুকিয়ে যায়
- পেটের কৃমি দূর করে
- মুখের ব্রণ দূর হয়
মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়াঃ মাথাব্যথা হয় না এমন মানুষ পাওয়া খুবই
কষ্টকর। কেননা আমাদের প্রত্যেকেরই কম বেশি মাথাব্যথা হয়। মাথা ব্যথা বিভিন্ন
কারণে হতে পারে। যে কারণেই মাথা ব্যথা হোক না কেন কালকে সেই ব্যবহারের মাধ্যমে
নিমিষেই মাথা ব্যাথা দূর করা যায়। যারা দীর্ঘদিন যাবত মাথা ব্যথায়
ভুগতেছেন তারা দুই থেকে তিন ফোঁটা কালোকেশী রস নাকের ছিদ্রর মধ্যে দিবেন।
এবং অল্প কিছু রস মধুর সাথে মিশিয়ে কপালের মধ্যে দিবেন দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যে
মাথা ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
লিভারের সমস্যা দূর করেঃ মানুষের দামি একটি অঙ্গ লিভার। মানুষের
যাবতীয় খাবার লিভারের মাধ্যমে প্রসেসিং হয়। ঘরের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি
একটি কাজ। আমরা যদি সঠিক সময়ে লিভারের যত্ন নানী তাহলে অকালে মৃত্যুর মুখে ঢলে
পড়বো। যার কারণে লিভারের যত্নে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। নিয়মিত কালকেশী
খাওয়ার মাধ্যমে লিভারের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়। এমনকি কালোকেশীর মাধ্যমে
লিভারের জন্ডিস দূর করা যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস রোগটি
বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। আর এই ডায়াবেটিস রোগ থেকে রক্ষা
পাওয়ার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে থাকে। কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন ২
থেকে তিন চামচ করে কালো কেশীর রস খায় তাহলে ডায়াবেটি স নিয়ন্ত্রণে
থাকবে।
কাটা ঘা দ্রুত শুকিয়ে যায়ঃ শরীরের কোন জায়গায় কেটে গেলে অথবা
কোথাও ক্ষত হলে কালকেশী ব্যবহার করুন। ক্ষতস্থানে কালোকেশী বেঁটে লাগিয়ে দিলে
দ্রুত রক্ত পড়া বন্ধ হয়এবং অতি তাড়াতাড়ি ক্ষতস্থান শুকিয়ে যায়।
পেটের কৃমি দূর করেঃ কালোকেশী গাছের রস নিয়ম সকালে খেতে পারলে আপনার
পেটের কৃমি দূর হয়ে যাবে।
মুখের ব্রণ দূর হয়ঃ মুখে ব্রণ দেখা দিলে দেখতে একটু খারাপ লাগে। আর
ব্রণ কিশোর কিশোরীদের বেশি হয়ে থাকে। তাই কেউই চায় না তার মুখে
ব্রণ থাকুক। তাই কালোকেশী ব্যবহারের মাধ্যমে ব্রণ থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।
যাদের মুখে ব্রণ দেখা যায় তারা কালোকেশী বেটে হালকা করে ব্রণের উপর লাগিয়ে
দিলে ব্রণ অতি তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যাবে।
মশা নিধনে কালোকেশী ব্যবহার
বর্তমান সময়ে মশার উপদ্রব বেড়ে চলেছে। আর মশার কামড় থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ
দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে মশারকামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
মারাত্মক একটি ব্যাধি হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর। একবার শরীরের ভেতর ডেঙ্গু জ্বর হলে
ধীরে ধীরে শরীরে রক্ত কণিকা গুলোকে নষ্ট করে দেয়। যার কারনে শরীরের ভেতর নতুন
করে রক্ত জন্মাতে পারেনা।
এই ডেঙ্গু জ্বরের কারণে মানুষ অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। আর ডেঙ্গু
জ্বরের প্রধান কারণ হলো মশার কামড়। এছাড়াও মশার কামড় থেকে অনেক ধরনের রোগ
দেখা দেয়। তাই মশা কামড়ানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের কয়েল ব্যবহার করে
থাকি। যে কয়লের মধ্যে মারাত্মক কেমিক্যাল থাকে।
কল ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর।তাই আমরা মশা তাড়ানোর জন্য কয়েল ব্যবহার না
করে কালোকেশী ব্যবহার করতে পারি। ঘরবাড়ি থেকে মশা তাড়ানোর জন্য কালোকেশীর
পাতা বেটে ২ চামচ রস ৫০০ গ্রাম পানিতে মিশিয়ে ঘরে বাইরে স্প্রে করতে পারি।তাহলে
মুহূর্তের মধ্যেই মশা দূর হয়ে যাবে।
কালোকেশী পাতার তেল তৈরি করার নিয়ম
কালো কেশী পাতা দিয়ে কিভাবে তেল তৈরি করবেন সেটি জানতে মনোযোগ সহকারে লেখাগুলো
পড়ুন। প্রথমে কয়েকটি জবা ফুল্ মেথি, আমলকি, এবং কালোকেশীর পাতা একসাথে
ভালোভাবে বেটে নিন। এরপর ২৬০ গ্রাম নারিকেল তেল নিয়ে বেটে নেওয়া কালোকেশীর
সাথে ভালোভাবেমিশিয়ে নিন।
এরপর মিশ্রণটি চুলাতে দিয়ে গরম করে নিন। পরে ঠান্ডা হয়ে গেলে বোতলে সংরক্ষণ করে
রাখুন। মনে রাখতে হবে মিশ্রণটি অতিরিক্ত গরম করা যাবে না। এভাবে খুব সহজে
কালকেশীর পাতা দিয়ে তেল তৈরি করে ব্যবহার করতে পারবেন। এবং এই তেল ব্যবহার করার
কারণে আপনার চুল হবে কালো এবং ঝলমলে উজ্জ্বল। এবং এই তেল চুলে ব্যবহার করার ফলে
চুল পড়া কমতে সাহায্য করবে।
আরো পড়ুনঃ ঘারে বসে আয় করার উপায়
কালোকেশী কিভাবে চুলে ব্যবহার করবেন
চুলের যত্নে কালোকেশী কিভাবে ব্যবহার করবেন তা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না
চলুন তা জেনে নিই। । কালোকেশী চুলকে কালো করার জন্য সবথেকে বেশি ব্যবহার হয়ে
থাকে। যার কারণে এর নাম দেওয়া হয়েছে কেশরাজ। কালোকেশী ব্যবহারের ফলে চুল
হয়ে ওঠে সুন্দর ও মজবুত। কালোকেশী মাথা ঠান্ডা রাখে এবং চুল পড়া বন্ধ
করে।
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যাদের অল্প বয়সে চুল পেকে যায় এবং চুল পড়ে যায়।
বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে বা জনসম্মুক্ষে পাকা চুলের জন্য লজ্জিত হতে হয়। তাহলেএ
পাকা চুলকে কালোকেশী ব্যবহার করে কালো করুন। অকালে পেকে যাওয়া চুলকে কালো
করতে কালোকেশী পাতা পানির সাথে মিশিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় জাল দিন।
এরপর ঠান্ডা হয়ে গেলে মাথায় ভালোভাবে লাগিয়ে এক ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন। কালো
পিসির রস ব্যবহারের ফলে মাথার খুশকি দূর হয়ে যাবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন
এভাবে ব্যবহার করার ফলে আপনার মাথার উকুন ও দূর হয়ে যাবে ।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
চুলের যত্নে কালকেশীর ব্যবহার সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে জানতে পারলাম। আরো জানতে
পারলাম কিভাবে কালোকেশীর তেল তৈরি করে ব্যবহার করতে পারব। তবে একটা জিনিস
সব সময় মাথায় রাখতে হবে এ সমস্ত ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করার পূর্বে ডাক্তারের
সাথে পরামর্শ করা উত্তম।
আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে নিয়মিত আমাদের এই
ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। কেননা আমরা প্রতিনিয়ত ওয়েবসাইটে নতুন পোস্ট করে থাকি।
আমাদের আর্টিকেল পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url