গর্ভধারণের ১৫ টি প্রাথমিক লক্ষণ


আপনি কি প্রেগন্যান্ট?বেশ কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো দেখে, পিরিয়ড মিস হওয়ার আগেই আপনি সন্তান ধারণ করছেন কিনা তা বুঝতে পারবেন। চলুন এ আর্টিকেলটির মাধ্যমে গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণগুলো জেনে নেওয়া যাক।



আপনি হয়তো বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং শরীরের কিছু পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন। তবে আপনি নিশ্চিত নন এগুলো কি পিরিয়ডের পূর্ব লক্ষণ, না গর্ভধারণের। আপনি বাসায় বসে এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার আগেই নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন আপনি সত্যিই গর্ভবতী কিনা।

সূচিপত্রঃ গর্ভধারণের ১৫ টি প্রাথমিক লক্ষণ 

কখন প্রেগনেন্সির লক্ষণ দেখা দেয়

আপনার শেষ পিরিয়ডের প্রায় ১৪ দিন পর আপনি গর্ভধারণ করবেন। আপনার শেষ পিরিয়ডের ১৭ বা তার বেশি দিন পর আপনার বিভিন্ন গন্ধের প্রতি সংবেদনশীলতা তৈরি হবে, স্তনের পরিবর্তন হতে শুরু করবে। আপনি ক্লান্ত বোধ করবেন এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে।

আপনার শেষ পিরিয়ডের ২০ থেকে ৩০ দিন পর ইমপ্লাটেশনের ফলে সামান্য রক্তপাত দেখা দেবে ।সারজিকাল ও ঘন হতে পারে। আপনার শেষ পিরিয়ডের ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর ঘন ঘন প্রস্রাব করতে হবে, মেজাজ পরিবর্তন হতে শুরু করবে এবং আপনার পিরিয়ড মিস হবে।

 পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণ

কিছু মহিলাদের প্রেগনেন্সি টেস্ট করার আগেই সব ধরনের লক্ষণ শুরু হতে থাকে, আবার কারো কারো ক্ষেত্রে অল্প বা কোন লক্ষণই বোঝা যায় না। সাধারণ লক্ষণগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো-

শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া

আপনার যদি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বেচাল বডি থার্মোমিটার(সাধারণ জ্বর মাপার থার্মোমিটার নয়) দিয়ে আপনার শরীরের তাপমাত্রা মাপেন, তাহলে দেখবেন পুরো প্রেগনেন্সি সময় জুড়ে আপনার শরীরের তাপমাত্রা এক ডিগ্রি করে বাড়ছে।

যদিও শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তবে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া প্রেগনেন্সির একটি অন্যতম লক্ষণ ।যা আপনারা প্রতিদিন টেস্ট করার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন।

স্তনের পরিবর্তন

গর্ভধারণের শুরুর দিকে স্তনের কিছু কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন-তনের ফোলা ভাব তৈরি হওয়া, স্তর নরম হওয়া এবং স্তনের বোটার চারদিক অসমান ও কালো হয়ে যাই। মূলত ইন্স্ট্রোজেন হরমোনের ফলে এমনটা হয়। স্তনের পরিবর্তন আপনার শরীরে দুধ তৈরি করার প্রাথমিক প্রস্তুতি। এর ফলে তন অনেক ব্যথা করে।

আপনার স্তরের চারপাশের বৃত্তি, যাকে অ্যারিওলা ঘন হয়ে যায় এবং এর ব্যাস বৃদ্ধি পায়। আপনার অ্যারিওলাতে ছোট ছোট  বামস থাকে, এগুলোকে মন্টগোমেরি টিউবার কল বলে। গর্ভধারণ করলে এই বামসের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায় এবং বেশি বেশি দুধ তৈরি করার জন্য প্রস্তুত হয়।

ক্লান্তি অনুভব করা

ধরুন আপনি কোন পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই একটি ভারী বস্তা পিঠে নিয়ে এক কিলোমিটার রাস্তা হাটলেন। দিনে দিনে আপনার পিঠের বস্তা ভারী হচ্ছে। তাহলে যেরকম আপনার ক্লান্তি লাগবে, ঠিক তেমনি ভাবে প্রেগনেন্সির সময়ে ক্লান্তিকে অনেকেই এটার সঙ্গে তুলনা করে থাকেন।

গর্ভধারণের পর আপনার জরায়ুর ভিতর, শিশুর জীবন ধারণের জন্য একটি প্লাসেন্ট গঠিত হতে প্রচুর পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয়। যে কারণে আপনার স্বাভাবিক চলাফেরা ওঠা বসা করতে অনেক কষ্ট হয় এবং আপনি দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যান। প্রায় প্রতিটি মাই গর্ভধারণের এ সময়ে খুব ক্লান্তি অনুভব করেন

গর্ভধারণের কারণে রক্তপাত

প্রেগন্যান্ট অবস্থায় রক্তপাত হয়, তবে তা খুব সামান্য পরিমাণে। কারো কারো গর্ভধারণের ১০ থেকে ১৫ দিন পরেও স্বল্প পরিমাণে রক্তপাত হতে দেখা যায়। যেটা  ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত রক্তপাত  রক্তপাত নামে পরিচিত। আপনার পিরিয়ড হওয়ার সম্ভাব্য দিনগুলোতে হালকা দাগ বা রক্তপাত দেখা দিতে পারে।

একটি গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ  ইমপ্লান্টেশন। সহবাসের পর নিষিক্ত ডিম্বাণু নিজেকে জরায়ুর আটকে দেয়। এই পদ্ধতিকে ইমপ্লান্টেশন বলে। এ সময় স্বল্প রক্তপাত ও মাসিকের ব্যথা অনুভব হতে পারে।ইমপ্লান্টেশন রক্তপাতের রং হালকা গোলাপি বা বাদামী হবে, পিরিয়ডের মত লাল হয় না।

এক্ষেত্রে পিরিয়ডের তুলনায় অনেক অল্প পরিমাণ রক্তপাত হয়। একটানা রক্ত না গিয়ে কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিন স্থায়ী হয়। তবে, মনে রাখতে হবে আপনার পিরিয়ড যদি অনিয়মিত হয় তাহলে গর্ভধারণ ছাড়াই আপনার পিরিয়ড চক্রের মাঝামাঝি সময়ে হালকা রক্তপাত বা বাদামি দেখা দিতে পারে।

সার্জিক্যাল  স্লেমবার পরিবর্তন

গর্ভাবস্থায় মেয়েদের একটি প্রাথমিক লক্ষণ হল যোনি থেকে সাধারণের স্রাব বা সার্জিক্যাল মিউকাস বের হওয়া। এ সময় এর পরিমাণ কিছুটা বেড়ে যায়। এই পরিমাণ পুরো গর্ব অবস্থায় চলতে থাকে এবং ধীরে ধীরে এর পরিমাণ কিছুটা বাড়তে থাকে । গর্ভধারণের পরে সারিভকাল মিউকাস ঘন ও বাদামী ক্রিমের মত দেখাবে।

ডিম্বানু নিষিক্ত হওয়ার পরে যৌনির ভেতরে পরিবর্তনের কারণে এটা হয়। এ স্রাব পুরো গর্ব অবস্থায় চলতে থাকে একে লিউকোরিয়া বলে। এমন দেখলে ঘাবড়ানোর কোন কিছু নেই। পাতলা ও দুধের মত সাদা স্রাব স্বাস্থ্যকর ও স্বাভাবিক হয়। তবে যদি স্রাবে গন্ধ থাকে, ঘন হয় এবং যৌনিতে জ্বালাপোড়া করে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।


ঘন ঘন প্রস্রাব

ঘন ঘন পোস্টার প্রস্রাব হওয়া গর্ভবতীর আরেকটি লক্ষণ। এসময় একটি মেয়ের হরমন এর নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। এইচসিজি রক্ত প্রবাহ বেড়ে যায় এবং কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে প্রস্রাবের বেগ বারবার আসে।

এছাড়াও আপনার শরীরে বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে জায়গা কমে যায় ।সাধারণত এ কারণে পেটে বাচ্চা থাকা অবস্থায় ঘন ঘন প্রস্রাব করতে হয়।

মেজাজের পরিবর্তন 

এই ভালো লাগে তো এই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এটাই প্রেগনেন্সির আরেকটি সাধারণ লক্ষ্য। অবসাদ, মানসিক চাপ এবং শরীরের বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তনের কারণে গর্ভকালীন সময়ে মেজাজ খিটখিটে হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। এ সময়একটি মেয়ের হরমোন অনেক উঠানামা করে সেই সঙ্গে কথা নামা করে মেজাজও। যে কারণে শরীর ও মনের ওপর চাপ পড়ে।

আপনার গর্ভাবস্থার পাঁচ সপ্তাহের আগেই এ ধরনের মেজাজের পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। মায়েদের জীবনে এ সময় খুব বড় একটা পরিবর্তন আসে। তাই আপনার মেজাজ খারাপ হওয়া স্বাভাবিক একটি । বিষয়। নিজেকে ভালো রাখার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুম, ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া ও শরীরের যত্ন নিতে হবে।

পিরিয়ড মিস হওয়া

আপনার মাসিক যদি আগে নিয়মিত হয় এবং নির্ধারিত সময়ের পরে মাসিক যদি আর না হয়, তাহলে এটাকে গর্ভধারণের একটি প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া যাবে। তাই আপনারা এ বিষয়গুলো লক্ষ্য করেও বুঝতে পারবেন আপনি গর্ভবতী কিনা।

পেট ফুলে যাওয়া

প্রেগনেন্সি অবস্থায় পেট ফাঁপা লাগা, পেট ভরা ভরা লাগা অথবা পেটে গ্যাস জমেছে মনে হওয়া এ সময়ের একটি সাধারণ ঘটনা। সাধারণত গর্ভাবস্থার শুরুর দিকের সময়টাই এই সমস্যাগুলো দেখা যায়। মূলত এইসব হয়ে থাকে। এই হরমোনের কারণে হজম শক্তিও কমে যায়, ফলে পেটে গ্যাস তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে এবং পেট ফাঁপা ফাঁপা লাগে।

এ কারণে অনেক সময় কষ্টি-কাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এবং পায়খানা শক্ত হয়ে যায়। তাই গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাএবং আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। কারণ ফাইবার বা আজ যুক্ত খাবার পায়খানা নরম করতে অনেক সাহায্য করে।

অম্বল এবং বদহজমের সমস্যা

গর্ভাবস্থার প্রথমদিকে বুক জ্বালাপোড়া এবং অস্থিতিকর লক্ষণ দেখা যায়। হরমোনের পরিবর্তনের ফলে সাধারণত এমনটা হয়ে থাকে। প্রোজেস্টেরন এবং রিলাক্সীন নামক হরমোন আপনাদের শরীরের মসৃণ বেশি গুলোকে শিথিল করে দেয়। যার ফলে আপনার পরিপাকতন্ত্রের খাবার হজম প্রক্রিয়া আরো ধীরগতিতে চলতে থাকে।

বুক জ্বালাপোড়া কমানোর দুটি কার্যকরী উপায় হল কালোজিরা খাওয়া। আপনি যদি বাংলাদেশে থাকেন তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠে এক চামচ ইসুবগুল পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেন। ইসবগুল আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা উচিত না। ভেজানোর সাথে সাথে খাবেন।তাহলে গ্যাস, অনিয়মিত পায়খানা, শক্ত পায়খানা অতি তাড়াতাড়ি দূর হবে।

খাবারে অনীহা এবং বমি বমি ভাব

আপনার শরীরে আর একটি প্রাণ জন্মাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে আগের তুলনায় আপনার বেশি খাওয়ার কথা অথচ সেটা না হয়ে প্রেগনেন্সির শুরুর দিকে খাবারের প্রতি অনিহা তৈরি হয়। সবকিছুর তীব্র গন্ধ খাবারে অনিহা সৃষ্টি করতে পারে। যে খাবারগুলো ছাড়া আপনার একবেলা চলতো না সে সময় আপনার পছন্দের খাবারগুলো দেখল আপনার বমি পাই।

শরীরের হরমোন বেড়ে যাওয়ার ফলে এ ধরনের সমস্যা দেখা যায়। ফলে বেশিরভাগ মা গর্ভাবস্থায় কিছু খেতে পারে না। প্রেগনেন্সির সেকেন্ড ট্রাইমেস্টার আবার খাবারের রুচি ফিরে আসে এবং বমি বমি ভাব কমে যায়।

অতিরিক্ত লালা তৈরি হওয়া

গর্ভধারণের আর একটি অন্যতম লক্ষণ হলো অতিরিক্ত লালা ক্ষরণ হওয়া। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষা এটাকে টিয়ালিজম গ্ল্যাবিডারাম বলা হয়ে থাকে। এ লক্ষণগুলো শুরু হয় প্রথমদিকেই কারণ অতিরিক্ত লালা আপনার প্রাকস্থলীর এসিডের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আপনার দাঁত মুখ এবং গলা কে রক্ষা করে।

প্রেগনেন্সি ও পিরিয়ডের লক্ষণ এর পার্থক্য

পিরিয়ডের লক্ষণ এবং গর্ভাবস্থার লক্ষণ অনেকটা একই রকম। তাই আপনি গর্ভবতী কিনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। গর্ভাবস্থায়আপনার শরীরের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। জনে স্টাফ ঘন এবং ক্রিমের মতো হবে এবং স্তনের গোটা বেশি কালো হবে। এই লক্ষণগুলো গর্ভধারণের কিছুটা নির্ভরযোগ্য লক্ষণ। তবে কোনটারই ১00 ভাগ নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।

গর্ভাবস্থার আরো কিছু লক্ষণ দেখা যায় যেমন-বমি বমি ভাব, শরীরের ক্লান্তি স্তন নরম হওয়া শরীর ফুলে যাওয়া গন্ধের প্রতি সংবেদনশীলতা ইত্যাদি। অনেক সময় পিরিয়ডের লক্ষণ এর সাথে মিলে যাই। এক্ষেত্রে পরীক্ষা না করা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কোন কিছুই বলা সম্ভব নয় তাই সর্বপ্রথম আপনি নিশ্চিত হবেন আপনি সন্তান সম্ভবা কিনা।


কখন বাসায় প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারবেন?

প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য আপনার ভিডিওড মিস হওয়ার এক সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবেই আপনি সঠিক ফলাফল পাবেন। আপনি যদি পিরিয়ড মিস হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে না চান তাহলে যৌন মিলনের পর অন্তত দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করবেন।

আপনার জরাতে ভ্রুন নিষিক্ত হওয়ার প্রায় সাত থেকে ১৪ দিন পর শরীর হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন হরমোন তৈরি হতে শুরু করে। বাসায় বসে  স্ট্রিপ টেস্ট আপনার প্রস্রাবে এই এইচ সিজি হর মনের মাত্রা পরিমাপ করা হয়।

এখানকার বেশিরভাগ টেস্ট কিট ৯৮% সঠিক ফলাফল দিয়ে থাকে যদি আপনি সেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করেন। টেস্টের আগে কিড গুলোর প্যাকেটে থাকা নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ে নিয়ে তারপর পরীক্ষা করবেন।

মনে রাখবেন বাসায় বসে যেসব পরীক্ষা করা হয় সেগুলোতে অনেক সময় ফলস বা নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। মানে আপনি প্রেগন্যান্ট, কিন্তু অনেক সময় টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ আসে।

সবচেয়ে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় রক্ত পরীক্ষা করার মাধ্যমে আপনার। পিরিয়ড মিস হলে সাথে সাথে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক ফলাফল জানুন। আপনি গর্ভবতী কিনা এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য এটাই সবথেকে ভালো উপায়।

লেখকের শেষ মন্তব্য

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গর্ভধারণের কয়েকদিন পর মহিলারা নিজেদের মধ্যে প্রেগন্যান্ট ছিল লক্ষণগুলো দেখতে পাই। কিন্তু কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে এ লক্ষণগুলো দেরিতে দেখা যায়। গর্ভাবস্থার বেশিরভাগ লক্ষণ পিরিয়ডের সময় বা তার দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে বা পরে দেখা যায়।

যদি একজন মহিলা গর্ভধারণ করার চেষ্টা করছেন এবং নিজের উপরিক্ত লক্ষণ গুলো দেখতে পান তাহলে তাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এতে বিশেষজ্ঞরা লক্ষণের সঠিক কারণ নিশ্চিত করতে পারবেন। এছাড়াও, গর্ভাবস্থায় সঠিক পরামর্শ একটি গর্ভবতীর জন্য খুবই উপকারী। আর নিয়মিত গাইনির কাছে চেকআপ করতে কখনো ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে নতুন নতুন আর্টিকেল পড়ার জন্য আমার এই ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url