বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে

বাহরাইন মধ্যপ্রাচ্যের একটি উন্নত দেশ সেজন্য অনেকেই এদেশে কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে চাই। কিন্তু বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে এবং কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য অনেকেরই অজানা। আজকের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি, কোন কাজের কত বেতন এবং টাকার মান কত এই সকল বিষয়গুলো জেনে নিতে পারবেন।




আপনি আপনার কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে চাইলে বাহরাইনে যেতে পারেন সেখানে কয়েক ধরনের কাজের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। সেখানে একেক ধরনের কাজের জন্য একেক ধরনের বেতন বরাদ্দ রয়েছে। তাই বাহরাইনে যাওয়ার আগে কোন কাজের বেতন কত বাহরাইনে যেতে কত টাকা লাগবে সেই সকল বিষয় সম্পর্কে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

সূচিপত্রঃ বাহরাইনে যেতে কত টাকা লাগে

বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে

বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে এ বিষয়ে অনেক প্রবাসী ভাইয়েরা জানতে আগ্রহী। আপনারা বিভিন্ন ভাবে বাহরাইন যেতে পারেন তবে বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগবে এটার কোন নির্ধারিত এমাউন্ট নেই। কারণ বিভিন্ন ধরনের ভিসার বিভিন্ন দাম হয়ে থাকে। তাই আপনাকে আগে সঠিক করে নিতে হবে আপনি কোন ভিসায় বাহরাইন যেতে চান। তারপরে আপনি সঠিক জানতে পারবেন যে বাহরাইন যেতে আপনার কত টাকা লাগবে।

তবে আপনাকে একটি ধারণা দেওয়া যাক যে বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে। আপনি যদি সাধারণ কাজের ভিসা নিয়ে বাহুরাইন যান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মত আর আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে এজেন্সির ওপর নির্ভর করবে বাহরাইন যেতে আপনার কত টাকা লাগতে পারে। কারণ এজেন্সির সাথে আপনার আগে থেকে চুক্তি করা থাকবে আপনি যা চুক্তি করবেন সেই টাকায় দিতে হবে। এজেন্সি ভেদে আপনার টাকা কম বেশি হতে পারে কোন এজেন্সি আবার পাঁচ থেকে আট লক্ষ টাকার মতো নিয়ে থাকে।

আবার কোন এজেন্সি যদি আপনার কোন আত্মীয় হয় তাহলে টাকার পরিমান কম হতে পারে এবং আপনি যদি কোন প্রবাসী আত্মীয়-স্বজনের দ্বারা যান তাহলে আপনার খরচ অনেক কম হবে। আমি আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগবে।

বাহরাইন কোন কাজের চাহিদা বেশি

আপনি যদি বাহরাইন যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে বর্তমানে বাহরাইনে কোন কাজের চাহিদা গুলো সবচেয়ে বেশি রয়েছে। কারণ একটি দেশে যেতে হলে কিন্তু অবশ্যই সেই দেশের বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আপনার জানা উচিত সেটা যে কোন দেশ হতে পারে। তাহলে চলুন আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নেওয়া যাক বাহরাইন কোন কাজগুলোর চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ এর কাজ
নার্স এর কাজ
ইলেকট্রনিশিয়ান এর কাজ
মেকানিক্যাল এর কাজ
কনস্ট্রাকশন এর কাজ
ড্রাইভিং এর কাজ
সেফ এর কাজ
হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর কাজ
ক্লিনার এর কাজ
ফ্যাক্টরির কাজ
শপিংমলের কাজ
নির্মাণ কাজ এবং কৃষি কাজ

তাহলে আপনি বুঝতেই পারছেন যে বর্তমানে বাহুরাইন কোন কোন কাজে চাহিদা সবথেকে বেশি রয়েছে। তো এই কাজগুলোর ওপর যদি আপনার যেকোনো একটি অভিজ্ঞতা বা সার্টিফিকেট থেকে থাকে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সেই কাজের ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে আপনি বাহরাইন যেতে পারেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে যে যারা বাহরাইন যেতে খুবই আগ্রহী, তারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে বাহরাইন কাজের ভিসার ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট বা অভিজ্ঞতা ছাড়া তেমন কোন গুরুত্ব দেওয়া হয় না।

বাহরাইন কোন কাজের বেতন বেশি

বাহরাইনকোন কাজের বেতন বেশি? সেই সম্পর্কে জানতে প্রায় অধিকাংশ মানুষ youtube বা গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন। বাহরাইন হচ্ছে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং উন্নত রাষ্ট্র। আপনি যদি বাহরাইনে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই কাজের ওপরে দক্ষতা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। কারণ আপনি যদি বেশি টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনার দক্ষতা অভিজ্ঞতার কোন বিকল্প নেই।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বাহরাইনে কোন কাজের বেতন সব থেকে বেশি।

ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ
 কন্সট্রাকশন এর কাজ
 মেকানিক্যাল এর কাজ।

উপরে উল্লেখিত কাজগুলোর বেতন বাহরাইনে সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তবে অবশ্যই দেশটিতে যাওয়ার আগে এই কাজের ওপর আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে হবে। বাহরাইনে উপরে উল্লেখিত কাজের বেতন প্রায় ৮০০ দিনার থেকে ১০০০ দিনার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

এগুলো যদি আপনি বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করেন তাহলে, বেতন হবে প্রায় তিন লক্ষ টাকার কাছাকাছি। তাই আপনি যদি এসব কাজের উদ্দেশ্যে বাহরাইন যেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনি দক্ষতা অর্জন করে তারপরে বাহরাইন যাবেন তাহলে আপনার কাজের বেতন অনেক বেশি হবে।

বাহরাইন কাজের বেতন কত জানুন

বাহরাইন কোন কাজের বেতন কত বা বাহরাইন কাজের বেতন কত এ বিষয়ে কিন্তু অনেক প্রবাসী ভাই ও বোনেরা জানতে চান। আপনারা উপরে অবশ্যই দেখতে পেয়েছেন যে বাহরাইন কোন কোন কাজের চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশি রয়েছে। এটাও দেখতে পেয়েছেন যে উচ্চমানের কাজ ও নিম্নমানের কাজগুলোর মধ্যে কোন কোন কাজ গুলি রয়েছে। তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন যে কাজের উপর ভিত্তি করে বেতন কমবেশি হবে। তাহলে চলুন বাহরাইন কোন কাজের বেতন কত তা জেনে নেওয়া যাক।

উচ্চমানের কাজ গুলোর মধ্যে রয়েছে যেমনঃ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ, ইলেকট্রিশিয়া্‌ন, মেকানিক্যাল এবং কনস্ট্রাকশন ও ড্রাইভিং। এ সকল কাজগুলোর বেতন বাহরাইন দেশটিতে সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। এই সকল কাজগুলোর ওপর বাহরাইন প্রতি মাসে বেতন দিয়ে থাকে ১,৮০ দিনার থেকে ২,৫০০দিনার এর মত, বাংলাদেশী টাকায় ৫,৬৫,০০০ টাকা থেকে ৭,২৭,০০০ টাকার মতো। তাহলে আপনারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে বাহরাইন এ কাজগুলোর বর্তমানে অনেক ডিমান্ড রয়েছে।

বাহরাইনে নিম্নমানের কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে যেমনঃ হোটেল বা রেস্টুরেন্ট, শেফ, বিভিন্ন ধরনের ক্লিনা্‌র, ফ্যাক্টরির কা্‌জ, শপিংম্‌ল, নির্মাণ এবং কৃষিকাজ। বাহরাইনে এ সকল কাজগুলোর উপর প্রতি মাসে সর্বনিম্ন বেতন দিয়ে থাকে ১৭৫ ডিনার থেকে ২৫০ দিনার যা বাংলাদেশী টাকায় ৫১,০০ টাকা থেকে ৭৫,০০ টাকা পর্যন্ত।

বাহরাইন সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বেতন কত



যারা অল্প টাকার মধ্যে কোন কাজের ভিসার মাধ্যমে বাহরাইন যেতে চাচ্ছেন তারাই শুধু চার্জ করে থাকেন যে বাহরাইন সর্বনিম্ন বেতন কত হবে। ওপরে আপনারা দেখতে পেয়েছেন যে বাহরাইন এর সর্বোচ্চ বেতন কোন কোন কাজ গুলির মধ্য দিয়ে থাকে এবং সর্বনিম্ন বেতন কোন কোন কাজগুলোর মধ্য দেওয়া হয়ে থাকে। তাহলে চলুন আরও একবার জেনে নেওয়া যাক বাহারাইনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন কত।

বাহরাইনে কিছু কিছু কাজের জন্য সর্বোচ্চ বেতন দেওয়া হয়ে থাকে ১৮০০০ থেকে ২৫০০ দিনার এর মত। যা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে হয় প্রায় ৫,৬৫,০০০ টাকা থেকে ৭,২৭,০০০ টাকার মতো এবং বাহরাইনে কিছু কিছু কাজের জন্য সর্বনিম্ন বেতন দেওয়া হয়ে থাকে বাংলাদেশী টাকায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০হাজার টাকার মতো। তাহলে আমি আশা করি আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে বাহরাইন সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ কত বেতন দিয়ে থাকে।

বাহরাইন ভিসা পাওয়ার উপায়

বাংলাদেশ থেকে আপনি সরকারি এবং বেসরকারিভাবে কাজের ভিসা নিয়ে বাহুরাইন যেতে পারবেন। বিদেশি কর্মী নিয়োগের সরকারি প্রতিষ্ঠান বয়েসেলের মাধ্যমে অল্প খরচে বাহরাইনে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই আপনাকে বয়েসেলের ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।

সার্কুলার প্রকাশ করলেই সাথে সাথে আপনাকে আবেদন করতে হবে। এছাড়াও আপনি বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে বাহুরাইন কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। আর এজন্য আপনাকে ভিসা এজেন্সিতে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো জমা দিতে হবে। তবে আপনি ইচ্ছা করলেই নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আগ্রহীদের কাজের ভিসার অফার লেটার সংগ্রহ করতে হবে।

বাহরাইন যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে

আমরা সবাই জানি বাহিরের কোন দেশে যেতে হলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পড়ে। তেমনিভাবে বাহরাইন যেতে গেলেও কিছু ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হবে।আপনি কি কাজের ভিসা নিয়ে বাহরাইন যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে বা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগবে এগুলো ছাড়া আপনি বাহরাইন যেতে পারবেন না। তাহলে চলুন নিম্ন আলোচনা করা যায় বাহরাইন যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে।

সর্বপ্রথম আপনার লাগবে একটি বৈধ পাসপোর্ট এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ হতে হবে সর্বনিম্ন ৬ মাস তবে বর্তমানে ছয় মাস নয় কমপক্ষে দুই বছর মেয়াদ থাকতে হবে। এবং ফাঁকা পেজ থাকতে হবে কমপক্ষে দুইটি।
আপনার আইডি কার্ডের প্রয়োজন হবে এবং যাদের আইডি কার্ড নেই তাদের জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে।
আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্টের অথবা ব্যাংক চেকের প্রয়োজন হবে।
আপনার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে
আপনার মেডিকেল টেস্টের সার্টিফিকেট এবং করোনার টিকার কার্ড লাগবে
এছাড়াও আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট লাগবে।
আপনি যদি কোন কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন সেই দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে।
এবং চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন পত্র অনেক সময় লাগতে দেখা যায়।

তাহলে আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে বাহরাইন যেতে কি কি কাগজ পত্র লাগতে পারে।

বাহরাইন ভিসা খোলা নাকি বন্ধ

মধ্যপ্রাচ্যের একটি অন্যতম দেশ হচ্ছে বাহরাইন। বাহরাইনে বাংলাদেশীদের নতুন ভিসা দেওয়া প্রায় সাত বছর ধরে বন্ধ রয়েছে এর ফলে কর্ম সংকটে ভুগছেন প্রবাসীরা। সরকার ও কূটনৈতিক মহলে বিষয়টি আলোচনায় থাকলেও কার্যকর সমাধান এখনো মিলছে না বলে জানা যায়। এই দেশটিতে প্রায় এক লাখ ৫০০০০ এরও বেশি বাংলাদেশি কর্মীরা কাজ করতেন। তবে ২০১৮ সালের পর থেকে নতুন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফ্যামিলি ভিসা কার্যত বন্ধ রয়েছে।

২০১৮ সালে দেশটির মহাররাক শহরে মসজিদের ইমাম আব্দুল জলিল হামুদ হত্যাকাণ্ডে  বাংলাদেশী মোয়াজ্জিন কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এরপর বাহরাইন সরকার বাংলাদেশীদের নতুন ভিসা দেওয়ার অলিখিতভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

বাহরাইনে ভিসার সর্বশেষ আপডেট তথ্য অনুযায়ী জানাযায় যে, ২০২৫ সালে বাহরাইনের ভিসা পুনরায় চালু হওয়ার বিশেষ কোনো আপডেট বা নির্দিষ্ট কোন তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, যদি দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং তাদের প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ হয় তবে আবার পুনরায় ভিসার কার্যক্রম শুরু হবে। এক্ষেত্রে আপনি যদি আরো ভালো বা আপডেট তথ্য জানতে চান তাহলে বাহরাইনের দ্রুত আবাস অথবা কোন ভাল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

বাহরাইনের ভিজিট ভিসার নতুন নিয়ম জানুন

বাংলাদেশের অনেক মানুষই আছেন যারা ভিজিট ভিসা নিয়ে বাহরাইনে যেতে চান কিন্তু তাদের অনেকেই জানেন না ভিজিট ভিসার নতুন নিয়ম। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো ভিজিট ভিসার নতুন নিয়ম।

বাহরাইনের জাতীয়তা, পাসপোর্ট এবং আবাসিক বিষয়ক কর্তৃপক্ষ সম্প্রীতি বাহরাইনের ভিজিট ভিসা ব্যবস্থার বেশ কয়েকটি পরিবর্তন ঘোষণা করেছেন। একক প্রবেশ ভিসাধারীদের দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বাহরাইনে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যেখানে এক বছরের পূর্ণ প্রবেশ ভিসা প্রতি ভ্রমণে ৯০ দিন থাকার অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে।

বাহরাইনের আয়তন কত জানুন

বাহরাইন উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। অনেক প্রবাসী ভাই ও বোনেরা আছেন যারা বাহরাইন যেতে চান তারা অনেকেই বাহরাইনের আয়তন সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে চলুন বাহরাইনের আয়তন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বাহরাইন দেশের মোট আয়তন প্রায় ৭৮০ বর্গ কিলোমিটার এবং ৩০১ বর্গমাইল। বাহরাইন দ্বীপ দেশে প্রায় ৭৮ পার্সেন্ট ভূমি নিয়ে গঠিত , যা ৬০৪ বর্গ কিলোমিটার(২৩৩ বর্গমাইল)। এটি উত্তর থেকে দক্ষিনে ৪৮ কিলোমিটার (৩০মাইল) দীর্ঘ এবং এর প্রশান্ত বিন্দুতে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ১৬ কিলোমিটার বা ১০ মাইল প্রসারিত।

বাহরাইন টাকা রেট বাংলাদেশে কত

কাজের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রায় অসংখ্য প্রবাসী ভাই ও বোনেরা বাহরাইন যেতে চান। কিন্তু অনেকেই জানেন না বাহরাইন টাকার রেট বাংলাদেশে কত। বাহরাইনে প্রবাসরত এবং দেশটিতে যারা যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই জানা উচিত বাহরাইনের টাকার রেট বাংলাদেশের কত।

কারণ প্রবাসীরা পরিবারের কাছে নিজ দেশে টাকা পাঠাতে হলে তাদের মানি এক্সচেঞ্জ করতে হয়। তাই সে সম্পর্কে যদি সঠিক ধারণা আপনাদের না থাকে তাহলে আপনারা প্রতারিত হতে পারেন। এছাড়াও যারা দেশটিতে ভ্রমণ করতে চান সে ক্ষেত্রে টাকার রেট অবশ্যই আপনাদের জানা জরুরী। তাহলে চলুন আর দেরি না করে বাহরাইন টাকার রেট বাংলাদেশ কত সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বাহরাইন ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

অসংখ্য মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে বাহরাইনে বসবাস করেন কিন্তু টাকার রেট পরিবর্তন হওয়ার ফলে টাকা কম বেশি হয়ে থাকে। আর সেজন্য অনেকেই বাহরাইন ১০০ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা হয় সে সম্পর্কে জানার ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন।তাছাড়া উদ্দেশ্যে পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে, অনেক সময় সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হয়। তাহলে চলুন নিচে জেনে নেওয়া যাক বাহুরাইন ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা হয়।

বাহরাইন ১০০ টাকা সমান বাংলাদেশি ৩২,১৭৯ টাকার সমান হয়।

বাহরাইন ৫০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

বাহরাইন এ কাজের উদ্দেশ্যে কিংবা ভ্রমণ করতে অনেক বাংলাদেশি ভাই ও বোনেরা যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনারা অনেকেই জানেন না বাহরাইন ৫০০ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা। আর আপনারা যদি এই টাকাগুলির সম্পর্কে না জানেন তাহলে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন তাই আপনাদের অবশ্যই জানা উচিত বাহরাইন ৫০০ টাকা সমান কত টাকা হয়। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক বাহরাইন ৫০০ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা।

বাহরাইন ৫০০ টাকা সমান বাংলাদেশের  ১,৬০,৮৯৫ টাকার সমান।

বাহরাইন এক দিনার বাংলাদেশের কত টাকা

বাহরাইনের এক দিনার সমান বাংলাদেশের কত টাকা হয় এ বিষয়ে সম্পর্কে আপনার কি কোন ধারনা আছে। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি সহজে জেনে নিতে পারবেন বাহরাইনের এক দিনার সমান কত টাকা হয়। তবে আপনারা হয়তো জানেন না যে বাহরাইনের মুদ্রার নাম হচ্ছে দিনার।

বাহরাইনের এক দিনার সমান বাংলাদেশের ৩২১.৭৯ টাকার সমান।

FAQ'S

বাহরাইন যেতে কত বছর বয়স লাগে



আপনি যদি বাহরাইন এ কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ২১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৬০ বছরের মধ্যে।

বাংলাদেশ টু বাহরাইন কত কিলোমিটার

বাংলাদেশের অনেক জনসংখ্যা আছেন যারা বাহরাইন যেতে চান কিন্তু অনেকেই জানেন না যে বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন কত কিলোমিটার। বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন প্রায় ৪ হাজার ৬ কিলোমিটার এর মতো।

বাংলাদেশ টু বাহরাইন বিমান ভাড়া কত

বাংলাদেশী অনেক প্রবাসী ভাই ও বোনেরা জানতে চান যে বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন বিমান ভাড়া কত। বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন বিমান ভাড়া হচ্ছে প্রায় ই ৫০ হাজার থেকে দেড় লক্ষ টাকা।

বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন যেতে কত সময় লাগে

সাধারণত বাংলাদেশ থেকে বিমানে বাহরাইন যেতে সময় লাগে প্রায় ১০ থেকে ১৬ ঘন্টা।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

উপরের আলোচ্য বিষয় থেকে আপনি নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন যে, বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে বাহরাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এবং বাহরাইনের বেতন কত, বাহরাইন যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে, বাহরাইন ভিজিট ভিসার নতুন নিয়ম এবং বাহরাইন ভিসা পাওয়ার উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে। আমি আশা করি আপনি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং খুব সুন্দর করে বুঝতে পেরেছেন।

আপনি যদি বাহরাইন যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি যে বিষয়ে বাহরাইনে গিয়ে কাজ করতে চান সেই বিষয়ে আগে থেকে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে যাবেন। তাহলে বাহরাইনে গিয়ে আপনার কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে এবং আপনি অনেক টাকা বেতনের কাজ করতে পারবেন। আর আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন আর কোন ভুল ত্রুটি থাকলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আমি সংশোধন করার চেষ্টা করব ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url