ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে
অনেকেই ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চাই কিন্তু ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে এ সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। আজকের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার যাবতীয় টিপস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে আপনি কি ফ্যাশন কে বেছে নিতে চান। তাহলে সর্বপ্রথম
ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার জন্য আপনার অনেকগুলো দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে।
যেমন কমিউনিকেশন, গুড বিজনেস সেন্স, ক্রিয়েটিভিটি
ইত্যাদি। ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে
তা উপস্থাপন করা হলো।
সূচিপত্রঃ ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে
- ফ্যাশন ডিজাইনার এর বিভিন্ন দক্ষতার প্রয়োজন
- ডিজাইনার হতে হলে পড়াশোনার প্রয়োজন
- ফ্যাশন ডিজাইনারের কমিউনিকেশন থাকা দরকার
- গুড বিজনেস সেন্স প্রয়োজন
- বিজনেস সেন্স ডেভেলপমেন্ট
- ক্রিয়েটিভিটি বা কাজের পরিবর্তন
- অনেক বেশি প্র্যাকটিস করতে হবে
- আর্ট এর ওপর ভালো দক্ষতা
- স্টাইলিং এবং ড্রেসিং সেন্স থাকতে হবে
- কম্পিউটার স্কিল জানতে হবে
- ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে টিম প্লেয়ার থাকতে হবে
- ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা
- লেখকের শেষ মন্তব্য
ফ্যাশন ডিজাইনার এর বিভিন্ন দক্ষতার প্রয়োজন
বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় পেশা হয়ে উঠেছে ফ্যাশন ডিজাইনিং। বহু মানুষ
নিজেকে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত করছে। অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত তারকাদের পেশায় যে
ডিজাইনাররা তৈরি করে সাধারণত তারা এ পেশায় লাইফটাইম থাকেন। প্রচার ও রূপলী
দুনিয়ার আলোর এই জোড়া-ঝলকানিও এই পেশার প্রতি তরুণ প্রজন্মকে অনেক
আকর্ষণ করছে।
ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কে জানার জন্য শিক্ষাগত দক্ষতার
পাশাপাশি স্বতঃস্ফূর্ত শিল্প ও নান্দনিক বোধ না থাকলে ফ্যাশন ডিজাইনার
হিসেবে সফল হওয়া যাবে না। নান্দনিক বধ এর পাশাপাশি টেকনিক্যাল দক্ষতা,
যোগাযোগের দক্ষতা এবং ফ্যাশন ডিজাইনিং সম্পর্কে সব সময় খোঁজ খবর রাখতে
হবে।
ডিজাইনার হতে হলে পড়াশোনার প্রয়োজন
বর্তমান বিশ্বে ফ্যাশন ডিজাইন একটি জনপ্রিয় পেশায় পরিণত হয়েছে। আপনি যদি
এই ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে পড়াশোনা করতে হবে। ফ্যাশন
ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করার আগে আপনাকে এ বিষয়ের ভবিষ্যৎ সুযোগ সুবিধা এবং
ফ্যাশন ডিজাইন করার যোগ্যতা কোথায় পড়বেন এগুলো সব কিছু আগে থেকে জেনে
নিতে হবে।
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে ন্যূনতম এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে
হবে। এছাড়াও ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার জন্য কারিগরি দক্ষতার প্রয়োজন। এই কারিগরি
দক্ষতা মূলত সেলাই, প্যাটার্ন তৈরি, টেক্সটাইল গেম থাকতে হবে। তার সাথে
আপনার ডিজাইনে নতুনত্ব, সৃজনশীলতা বৈচিত্রতা ইত্যাদি ফুটিয়ে তোলার কারিগরি
দক্ষতা থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
প্রফেশনাল ১০ টি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
ফ্যাশন ডিজাইনারের কমিউনিকেশন থাকা দরকার
একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কারিগরি দক্ষতার পাশাপাশি আপনাকে কমিউনিকেশন বা
যোগাযোগের দক্ষ হতে হবে। তাছাড়াও নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করতে পারার
ক্ষমতাও আপনার মধ্যে থাকতে হবে। তবে বাজারে আপনার সম্পর্কে ভালো রেপুটেশন তৈরি
হবে এবং আপনার কেনাবেচা ও ভালো হবে।
ফ্যাশন ডিজাইনিং একটি সৃজনশীল পেশা হওয়ার কারণে আপনার কাজের পোর্টফোলিও থাকা
অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনার আঁকা আঁকির দক্ষতা সম্পর্কে নিয়োগদাতা যেন খুব সহজে
একটা পরিষ্কার ধারণা পান সে বিষয়ে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। আর আপনি যদি নিজে
উদ্যোক্ত হন তাহলে বড় বড় ফ্যাশন ডিজাইনিং কোম্পানির সাথে আপনার যোগাযোগ ভালো
রাখতে হবে
গুড বিজনেস সেন্স প্রয়োজন
আপনি একটি ফ্যাশন ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনার গুড বিজনেস সেন্স থাকা
প্রয়োজন। কারণ একটি ফ্যাশন ব্যবসা শুরু করা যতটা সহজ কিন্তু তা এগিয়ে
নিয়ে যাওয়া ততটাই কঠিন। ব্যবসা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং ব্যবসা বাড়িয়ে নিয়ে
লাভ করা সময় সাপেক্ষ এবং একটি ধৈর্যের বিষয়। আপনাকে সব সময় নিজেকে প্রশ্ন করতে
হবে আপনি কি আসলে এই ব্যবসা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন? প্রাথমিক অবস্থায় আপনাকে
একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে বাত চালিয়ে নিয়ে যেতে নিজের সবটুকু সময় ব্যয় করতে
হবে।
আপনি যখন ব্যবসা শুরু করবেন তার আগেই আপনাকে বাজার সম্পর্কে গবেষণা
করতে হবে। আপনি যে ডিজাইনের পর্ন তৈরি করবেন বাজারে তার চাহিদা কি রকম। আপনি ওই
পর্নো তৈরি করে লাভ করতে পারবেন কিনা সবকিছু বিবেচনা করে একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড়
করাতে হবে।
আপনাকে নিজেকে শক্তভাবে প্রশ্ন ছুড়ে দিতে হবে। আপনি কি নিজেই এই ব্যবসাটা
চালিয়ে যেতে পারবেন নাকি লোক নিয়োগ করার প্রয়োজন আছে। এরপর লোক নিয়োগ করার
সময় এই মানসিকতার মানুষ খুঁজে বের করতে হবে নয়তো আপনি খুব দ্রুতই সমস্যার
সম্মুখীন হতে পারেন। তাছাড়াও ব্যবসায় আপনার নিজের ত্রুটিগুলো নিজেকেই খুঁজে বের
করতে হবে। এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে না পারলে আপনি একজন সফল ব্যবসায়ী হতে
পারবেন না।
আরো পড়ুনঃ ঝাপসা ছবি স্পষ্ট করার ১০টি টিপস
বিজনেস সেন্স ডেভেলপমেন্ট
ফ্যাশন বলতে স্টাইল, পরিবর্তন এবং যোগ্যতার সমষ্টিকে বোঝায়। মানুষের
রুচিবোধ সমন্বিত ডিজাইন যখন সবার মাঝে প্রচলন শুরু হয় তখনই তাকে ফ্যাশন
বলে। ফ্যাশন সব সময় একই রকম থাকে না। ফ্যাশনের পরিবর্তন হয় মানুষের রুচিবোধের
ওপর নির্ভর করে। তখনই বিজনেস সেন্স ডেভেলপমেন্ট বা পরিবর্তন করতে হবে। মানুষের
রুচিবোধের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে নইলে ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়া যাবে না।
মানুষ বিভিন্ন পেশায় বা ব্যবসায় নিয়োজিত আছে তারা প্রতিদিন একই কাজ করে যেমন
ডাক্তার প্রতিদিন রোগী দেখে, মুদি দোকানদার প্রতিদিন বেচা কেনা করে। তাদের কোন
পরিবর্তন নেই তারা প্রতিদিন একই ধরনের কাজ করে। কিন্তু একজন ফ্যাশন ডিজাইনার
কে নিত্য নতুন ডিজাইন আবিষ্কার করতে হয়। মানুষের রুচিবোধ যেরকম সেই রকম ভাবে তার
বিজনেস কে পরিবর্তন করতে হয়। আর এ পরিবর্তনের মাধ্যমে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার তার
ব্যবসায় লাভজনকভাবে উন্নতি করতে পারে।
ক্রিয়েটিভিটি বা কাজের পরিবর্তন
ক্রিয়েটিভিটি বা কাজের পরিবর্তন ফ্যাশন ডিজাইনিং এর জন্য একটি বড়
চ্যালেঞ্জ।ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে তার জন্য আপনাকে প্রতি নিয়ত
নিত্যনতুন কাজ করতে হবে। আপনার কাজের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ মানুষ
একই জিনিস সব সময় ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে না। মানুষ প্রতিনিয়ত
নিত্যনতুন জিনিস ব্যবহার করতে পছন্দ করে তাই একজন ফ্যাশন ডিজাইনার কে ক্রিয়েটিভ
হতে হবে।
আপনি একটি শার্ট তৈরি করবেন বা একটি প্যান্ট তৈরি করবেন কিন্তু সেটা আগের শার্ট
বা প্যান্টের মতো হওয়া যাবে না আপনাকে এর মধ্যে নতুন কিছু সংযোগ করতে হবে। তাই
এই ক্রিয়েটিভিটি ফ্যাশন ডিজাইনিং এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্কিল। এই স্কিল
সম্পূর্ণ করতে না পারলে আপনি কখনোই উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারবেন না। তবে ভয়ের
কিছু নেই বেশি বেশি প্র্যাকটিসের মাধ্যমে আপনি কাজে পরিবর্তন আনতে পারবেন।
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে বা কোন কাজটি বেশি বেশি করতে হবে তা আপনাদের
মনে নাড়া দেয়। একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনারের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে
বেশি বেশি প্র্যাকটিস করা। কারণ আপনি যদি বেশি বেশি প্র্যাকটিস না করেন আপনি নতুন
নতুন ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন না। যেমন একজন স্টুডেন্ট যত বেশি লেখাপড়া করবে
পরীক্ষায় তত বেশি ভালো ফলাফল পাবে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যত প্র্যাকটিস
করবেন তত নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করতে পারবেন।
প্রত্যেকটি মানুষই চায় জীবনের সফলতা লাভ করতে। কিন্তু মানুষ একবারের
চেষ্টাতেই সফলতা লাভ করতে পারে না। তাকে বারবার চেষ্টা করতে হয় ঠিক তেমনিভাবে
একজন ফ্যাশন ডিজাইনার একটি ডিজাইন তৈরি করার পর আরেকটি নতুন ডিজাইন তৈরি করার
জন্য তাকে অনেক বেশি প্র্যাকটিস করতে হয়। তাই একজন ফ্যাশন ডিজাইনার কে অনেক
পরিশ্রমী বা প্র্যাকটিক্যালি হতে হবে কারণ পরিশ্রমই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার
আর্ট এর ওপর ভালো দক্ষতা
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে এরকম প্রশ্ন অনেকেই করে। একজন ফ্যাশন
ডিজাইনারের মিনিমাম আর্টের উপর দক্ষতা থাকতে হবে। যাতে সে তার ডিজাইনকে রং তুলির
মাধ্যমেও ফুটিয়ে তুলতে পারে। আর্টের ওপর একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের যদি
কোন অভিজ্ঞতাই না থাকে তাহলে ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চাইলে তাকে কিছু
সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
যেমন একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের যদি আর্টের উপর দক্ষতা না থাকে তাহলে সে তার
ডিজাইনকে কাগজের মাধ্যমে অন্য কারো কাছে উপস্থাপন করতে পারবে না। যদি কোন
কোম্পানির সাথে তার ডিল হয় এবং সে কোম্পানি যদি তার ডিজাইনকে চাই তাহলে
আর্ট এর মাধ্যমে তার ডিজাইনকে উপস্থাপন করতে পারবে না। তাই একজন ফ্যাশন
ডিজাইনারের ন্যূনতম আর্টের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
স্টাইলিং এবং ড্রেসিং সেন্স থাকতে হবে
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দল দক্ষতার প্রয়োজন সেটি হচ্ছে
স্টাইলিং এবং ড্রেসিং সেন্স । স্টাইলিং এবং ড্রেসিং সেন্স বলতে
বোঝায় কোন ধরনের মানুষকে কোন ধরনের ড্রেস পড়লে ভালো লাগবে সেটা বোঝার অভিজ্ঞতা।
অনেকে আছে যারা ফ্যাশন ডিজাইনার না হয়েও ড্রেসিং সেন্স সম্পর্কে অনেক
ভালো অভিজ্ঞতা রাখে। আর আপনি তো একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চান। তাহলে অবশ্যই
আপনার স্টাইলিং এবং ড্রেসিং সেন্স থাকতে হবে।
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে এর স্টাইলিং বা ড্রেসিং সেন্স বলতে আপনি
এরকম ভাবেও বুঝতে পারেন যে, একজন লোক একটু স্বাস্থ্যবান তাকে কি রকম পোশাক পরলে
ভালো লাগবে এবং একজন লোক পাতলা বা চিকন তাকে কোন ধরনের পোশাক পরলে ভালো লাগবে এই
ধরনের কমনসেন্সগুলো আপনার মধ্যে থাকতে হবে। এই কমনসেন্সগুলো আপনার ভেতরে যদি না
থাকে তাহলে আপনি একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হতে পারবেন না।
কম্পিউটার স্কিল জানতে হবে
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে তার জন্য প্রত্যেক ফ্যাশন ডিজাইনারের
থাকা উচিত সেটা হচ্ছে কম্পিউটার স্কিল। কম্পিউটার স্কিল বলতে সাধারণত নরমাল নরমাল
কম্পিউটার চালানো কে বোঝাচ্ছে না। নরমাল কম্পিউটার এখন সবাই চালাতে পারে।
কম্পিউটার স্কিল বলতে মূলত আমি বোঝাতে চাচ্ছি গ্রাফিক্সের সফটওয়্যার গুলো
চালাতে জানতে হবে। যেমন ফটোশপ ইলাস্টেটল এই সফটওয়্যার গুলো।
যাতে করে আপনি হাতে আঁকা ছবিগুলোকে কিভাবে ডিজিটাল করবেন আবার আপনি প্রিন্টের
জন্য ডিজাইন গুলোকে কম্পিউটারে কিভাবে ট্রেস করবেন। এরকম বেসিক নলেজ গুলো আপনার
থাকতে হবে। কারণ দেখবেন আপনি যখন ডিজাইন করতে যাবেন তখন বিভিন্ন সময় এ
সফটওয়্যার গুলোর প্রয়োজন পড়বে। তাই অবশ্যই আপনাকে কম্পিউটারের স্কিল
সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে।
একজন মানুষের পক্ষে কখনোই সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়া সম্ভব নয়। তাই অবশ্যই আপনার
একটা টিম থাকতে হবে। ফ্যাশন ডিজাইনিং শুধুমাত্র একজন মানুষের কাজ নয়।
ধরুন একটা ড্রেসের ডিজাইন আপনি একা করতে পারবেন কিন্তু একটি
কমপ্লিট ড্রেস বানাতে অনেক লোকের প্রয়োজন।
তখন আপনাকে অনেকগুলো মানুষের সাহায্য নিতে হবে। এর জন্য আপনাকে একজন ভালো টিম
প্লেয়ার হতে হবে। আপনি যদি একলা কাজ করতে যান সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য কাজটা অনেক
কঠিন হয়ে যাবে। অনেক সময় আপনারা মনে করেন আপনাদের সাপোর্ট দেয়ার মানুষ
নেই আপনি সেই মানসিকতার মানুষ খুঁজে পাচ্ছেন না। তাহলে বলতে হবে আপনার টিম স্কিল
খুব দুর্বল। তাই টিম প্লেয়ার হিসেবে আপনাকে অনেক সচেতন হতে হবে। তাহলে আপনি
একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হতে পারবেন।
ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে এরকম প্রশ্ন সবার মনে উঁকি দিয়ে থাকে।
ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার একটি বড় স্কিল হচ্ছে ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে।
আমরা কিন্তু সব সময় একটি কাজ করার আগে নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি না আমরা সফল হতে
পারব কি না। ফ্যাশন ফ্যাশন ডিজাইনিং বা ক্রিয়েটিভ কাজের ক্ষেত্রে এটি
কিন্তু আরও চ্যালেঞ্জিং বিষয়।
আপনি আপনার আশপাশের এমন অনেক মানুষকে দেখবেন তাদের ঝুঁকি নেওয়ার সাহস বা ক্ষমতা
না থাকার কারণে তারা জীবনে অনেক কিছুই করতে পারেনি। আপনি যদি সেই রিক্সটা
নিতে জানেন তাহলে এই ফ্যাশন ডিজাইনিং এ সফল হওয়া থেকে আপনাকে কেউ আটকাতে
পারবেনা।
লেখকের শেষ মন্তব্য
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে এ প্রশ্নের উত্তর জানতে বর্তমান প্রজন্মের
মানুষেরা অনেক আগ্রহী। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষই ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্যাশন
ডিজাইনকে তার জীবনে স্থান দিচ্ছে। ফ্যাশন ডিজাইন হচ্ছে একটি ক্রিয়েটিভ
বিষয় বা সৃজনশীল বিষয়। আর বর্তমান প্রজন্মের মানুষেরা সৃজনশীলতাকে ভালোবাসে।
তাই আপনিও আপনার ক্যারিয়ার গঠন করতে ফ্যাশন ডিজাইন কে বেছে নিতে পারেন।
হে প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লেগে থাকলে আপনারা
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর আজকের এই পোস্টেটি পড়ার জন্য আপনাদের
অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url