গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

সন্তান যেন বুদ্ধিমান এবং মেধাবী হয় এ প্রত্যাশা সব বাবা মা ই করে থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় এ বিষয় নিয়ে সব বাবা মা চিন্তিত থাকে এ কারণেই প্রত্যেক গর্ভবতী নারী তার সন্তানের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে চলেন। অনেক সময় পুষ্টিকর খাবারের অভাবে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।




যেহেতু একটি বুদ্ধিমান ও মেধাবী সন্তান বাবা মা চান কাজেই তার মস্তিষ্ক গঠনের উপর জোর দিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। জন্মের পূর্বেই সন্তানের দরকার সঠিক মস্তিষ্কের বিকাশ। তাই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় তার বিস্তারিত আলোচনা এর মাধ্যমে উপস্থাপন করা হলো।

সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার মেধাবিকাশ হওয়ার খাদ্য

গর্ভাবস্থায় প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন মাছ-মাংস ডিম ডাল ইত্যাদি নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে শিশুর মানসিক বিকাশ বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও কলা শুকনো ফল পুদিনা পাতা সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ফলিক এসিড রয়েছে। যা গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ককে বিকাশ করে এবং বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে।

সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ সর্বপ্রথম মায়ের গর্ভ থেকে শুরু হয়। সেজন্য সবসময় দরকার মায়ের একটি ব্যালেন্স বা মডিফাইড ডায়েট করা। সবকিছু অতিরিক্ত না খেয়ে কি খেলে বাচ্চার ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট হবে সেদিকে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে।

সাধারণত মায়ের গর্ভাবস্থায় 25% ব্রেন ডেভেলপমেন্ট হয় একটি বাচ্চার। তাই গর্ভাবস্থায় মা কি খাবে তার একটি নির্দিষ্ট তালিকা আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুত করে রাখা উচিত। আমাদের পরিবেশ ও খাদ্যভাসের পরিবর্তনের কারণে অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে সবসময় চিন্তিত থাকেন কিভাবে একটি বাচ্চার ব্রেন ডিপার্টমেন্ট হবে।

একটি বাচ্চার 25% ব্রেইন মায়ের গর্ভস্থ অবস্থায় উন্নতি লাভ করে সেহেতু গর্ভ অবস্থায় থাকাকালীন মায়ের পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন প্রোটিন ইত্যাদি খাবার খেতে হবে। তাছাড়াও খাবারে রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে মাছ ডিম দুধ। এছাড়াও বাদাম বাচ্চা ও যেকোনো বয়সের আইকিউ লেভেল বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনী। এছাড়াও জন্মের ছয় মাস পর বাচ্চাকে দুধ এবং দুধের তৈরি খাবার, সুজি, সেমাই, খাওয়ালে শিশুর , মেধার বিকাশ হয়। বিক্রি করবেন মাইকের সামনে যোগাযোগ করে যে কোন অঞ্চল প্লাস্টিকের ভাঙ্গাচোরা

প্রেগনেন্সিতে শিশুর অতিরিক্ত ওজন বাড়িয়ে কি লাভ যদি শিশুর মেধার সঠিক বিকাশে না হয়। এ কারণে গর্ভবতী নারী শিশুর কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে চলার চেষ্টা করুন। যেহেতু বুদ্ধিমান ও মেধাবী সন্তান প্রত্যেক বাবা-মাই আশা করে তাই গর্ভাবস্থায় খাদ্য তালিকায় কিছু বিশেষ খাবার থাকলে গর্ভস্থ শিশুটির মানসিক বিকাশ সঠিক হতে পারে। আসুন আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় একটি মায়ের কি কি খাবার খাওয়া উচিত তা জেনে নেওয়া যাক।

প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া

গর্ভাবস্থায় প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত যেমন ডিম, মাছ, মাংস, পাঁচ মিশালি ডাল, নিয়মিত খেলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ অনেক ভালো হবে।

ডিমঃ ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যামাইনো এসিড। যা একটি শিশুর মস্তিষ্কের গঠন ভালো করে এবং স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্রত্যেক গর্ভবতী নারীদের দিনে অন্তত দুইটি করে ডিম খাওয়া উচিত। ডিমে থাকে প্রচুর পরিমান প্রোটিন ও আয়রন যার জন্মের সময় একটি শিশুর ওজন বাড়িয়ে দেয়।

মাছঃ শ্যামন, টুনা, মেকারেল ইত্যাদিতে ওমেগা-৩ ফাটি এসিড থাকে। শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মায়েরা গর্ভাবস্থায় সপ্তাহে দুইবারের বেশি মাছ খেয়েছে তাদের সন্তানের বুদ্ধিমত্তা অনেক বেশি হয়।

আয়োডিনঃ আয়োডিন অভাবে বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় ১৪ সপ্তাহের সন্তানের আই কিউ কমে যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় আয়োডিনযুক্ত লবণ বেশি বেশি খাওয়া উচিত। তাছাড়াও সামুদ্রিক মাছ, দুধ ডিম দই ইত্যাদি খাওয়া উচিত।

সবুজ শাকসবজি খেতে হবে

পালং শাকের মতো পাতাবহুল একটি শাক ধনিয়া পাতা ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ অ্যাসিড থাকে যা আপনার শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন।  এছাড়াও ফলিক এসিড সাপ্লিমেন্ট ভিটামিন বি ১২ এর সঙ্গে বেশি বেশি খাওয়া উচিত। তাহলে দেখবেন গর্ভাবস্থায় আপনার শিশুর মেধাবিকাশ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।

একটি গবেষণায় জানা গেছে, শাকসবজিতে বর্তমানে ফলিক এসিড শিশুদের নিউরাল টিউব এর সমস্যার ঝুঁকি কমাতে অনেক সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের ঠোঁট কাটা ও হৃদপিন্ডের গঠন জনিত নানা সমস্যা দূর করে থাকে। গর্ভাবস্থায় আরো বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে সবুজ শাকসবজি। তাই আপনি সঠিক পরিমাণে ফলিক এসিড গ্রহণ করবেন।

ব্লবেরি

ব্লবেরি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য যা শিশুদের জ্ঞানী ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।ব্লবেরির বিকল্প হিসেবে স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি বা কালোজাম আপনি খেতে পারেন। একটি শিশুর ব্রেন কে ঠিক রাখতে ব্লবেরির জুরি মেলা ভার।

 ব্লবেরির মতো ফল টমেটো লাল বিন্স গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি খাওয়া দরকার। এই ফলগুলো আপনার সন্তানের মস্তিষ্কে টিস্যুকে রক্ষা করবে এবং মস্তিষ্কের বিকাশে অনেক সাহায্য করবে।

আরয়ন ও ফলিক অ্যাসিড



গর্ভাবস্থায় কলা শুকনো ফল, পুদিনা পাতা, সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। যা গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে এবং বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। এছাড়াও গর্ভধারণের আগে থেকে ফলিক এসিড সেবন আপনার অনাগত সন্তানের জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় তার জন্য আইরন ও ফলিক এসিড সন্তানকে বুদ্ধিমান হতে অনেক সাহায্য করে। এই খাবারগুলো গর্ভাবস্থায় অবশ্যই আপনার খাওয়া উচিত। আয়রন গর্ভের শিশুর কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শে আপনার নিয়মিত আয়রনের সেম্প্লিমেন্ট খাওয়া উচিত।

আমন্ড খাওয়া

স্বাস্থ্যকর স্নেহ পদার্থ, ফ্যাট, ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন ই এবং প্রোটিনের ভরপুর হলো আমন্ড। মস্তিষ্কের গুনাগুন বৃদ্ধিকারী ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড আমন্ড এর ভেতরে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। আপনি যদি প্রতিদিন এক মুঠো করে আমন্ড খান তাহলে আপনি একটি সুস্থ এবং বুদ্ধিমান সন্তান জন্ম দিতে পারবেন। 

এছাড়াও গর্ভাবস্থায় মটরশুটি খাওয়ার মাধ্যমে আপনার সন্তানের বুদ্ধি বিকশিত হবে। আখরোটেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের পরিপূর্ণ থাকে।গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় তার জন্য আমন্ড খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনারা সবাই চেষ্টা করবেন যেন গর্ভ অবস্থায় বেশি বেশি আমন্ড খেতে পারেন তাহলে আপনার সন্তান এর বুদ্ধি বিকাশিত হবে।

ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার খাওয়া

সাধারণত গর্ভধারণের পঞ্চম মাস থেকে ওমেগা-৩ ফ্যাটে এসিডযুক্ত খাবার আপনার খাদ্য তালিকায় বেশি রাখতে হবে। যেমন কুমড়াবিচি বা সূর্যমুখী বিচি এছাড়াও সামুদ্রিক মাছ যেমন সালমান টোনা ম্যাকেরাল ও কোড লিভার ওয়েলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ রয়েছে। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছে ডি এইচ এ এবং ep h থাকে যা পরবর্তী সময়ে শিশুর বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।

সন্তানের স্নায়ু কোষ গঠনের জন্য আপনার শরীরকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। এর জন্য আপনার শরীরে বাড়তি কিছু প্রোটিনের প্রয়োজন। তাই আপনাকে প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে। দইয়ে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে যা গর্ভাবস্থায় আপনার জন্য প্রয়োজন।

কলিনযুক্ত খাবার

কলিং যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে মাংস, মুরগি ডিম এবং আরও অন্যান্য প্রাণী ভিত্তিক পণ্য। ক্রুসিফেরাস শাকসবজি যেমন মটরশুঁটি, বাদাম এবং পুরো শস্য। এবং দুধেও প্রচুর পরিমাণ কলিন উপস্থিত থাকে এজন্য একটি মায়ের গর্ভাবস্থায় কলিন যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।

ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে কলিন পাওয়া যায় গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কলি্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় তার জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।একজন গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি, গাজর টমেটো ইত্যাদি সবজিগুলো প্রতিদিন রাখা উচিত। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে লোটেইন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

 গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় তার জন্য বাদাম, কালো জাম গর্ভাবস্থায় একটি মা খেতে পারেন এতে ভিটামিন ই এর পরিমাণ বেশি থাকে এবং এর ভেতরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো শিশুর স্মৃতিশক্তি ও মানসিক বিকাশ গঠন করতে অনেক সাহায্য করে।

 ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাওয়া



ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারগুলো হচ্ছে পনির, গরুর মাংস কলিজা ইত্যাদি। একটি গর্ভবতী মায়ের শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় তাহলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিকভাবে উঠতে পারে না। এর জন্য একটি গর্ভবতী মাকে ভিটামিন বি যুক্ত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত সূর্যের আলোয় কিছুক্ষণ সময় বসে থাকতে হবে। 

উপরের খাদ্যগুলো ছাড়াও ডিম , দুধ দই অবশ্যই খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত । কারণ একটি গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মেয়েদের ভিটামিনের মাত্রা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম থাকে তাদের বাচ্চার মস্তিষ্ক অনেক দুর্বল হয়। তাই গর্ভাবস্থায় একটি মায়ের নিয়মিত ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।

কপার ও জিংক

গর্ভাবস্থায় একটি মায়ের খাদ্য তালিকায় কপার সমৃদ্ধ খাবারগুলো থাকা উচিত। যেমন কাজুবাদাম, এভোকাডো, মটরশুটি, বিট ও জিক সমৃদ্ধ খাবার যেসব শস্যজাতীয় খাবার। এছাড়াও মাছ মাংস খাদ্য তালিকায় পরিমাণমতো রাখা উচিত। আপনি যদি এই খাবারগুলো পরিমাণ মতো খেতে পারেন তাহলে আপনার গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের কোষগুলো সঠিকভাবে বেড়ে উঠবে।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় তার জন্য কপার ও জিঙ্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ খাবার। আপনি আপনার সন্তানকে যদি মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সঠিকভাবে বেড়ে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কপার ও জিংক জাতীয় খাবার আপনার সন্তানকে অবশ্যই খাওয়াতে হবে। এজন্য কপার ওজিংক জাতীয় যে সকল খাবার রয়েছে সেগুলো দেখে দেখে পরিমাণমতো খাওয়াতে হবে।

আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার

সামুদ্রিক মাছ আয়োডিনের জন্য একটি ভালো উৎস। প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি এই সুস্বাদু খাবারে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন এই খাবারটির নাম হচ্ছে চিংড়ি। এছাড়াও সেদ্ধ ডিম তো কত ভাবেই আমরা খেতে পারি সেদ্ধ ডিমে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, জিং ক ক্যালসিয়াম এবং ১২ মাইক্রো গ্রাম পরিমাণে আয়োডিন থাকে।

একটি গর্ভবতী মায়ের জন্য এই সবগুলো খাবারই খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। কারণ এই খাবারগুলো যখন একটি গর্ভবতী মা খাবেন তখন তার সন্তানের মানসিক বিকাশ এবং শারীরিক গঠন সুস্থভাবে গঠিত হবে। তাই একজন গর্ভবতী মা তার খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো অবশ্যই রাখবেন।

পরামর্শ ও সাবধানতা

একটি গর্ভবতী মায়ের খাবার খাওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যেমন আপনি মুখে কি দিচ্ছেন সেটা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন এবং সব সময় তাজা এবং জৈব খাদ্য অর্গানিক ফুড খান এটি আপনার সন্তানের বুদ্ধিমত্তাকে বাড়িয়ে দেবে। অধিক পরিমাণে শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং সম্পূর্ণভাবে মদ্যপান ধূমপান ও অন্যান্য ক্ষতিকারক বা অস্বাস্থ্যকর বিষয়গুলোকে এড়িয়ে চলুন।

কাঁচা মাংস পারদ যুক্ত মাছ এবং খোলযুক্ত শামুক ও ক্যাফিন এগুলো আপনার দেহের দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে এবং নানা রকম জটিলতার সৃষ্টি করবে এমনকি আপনার গর্ভপাত পর্যন্ত ঘটতে পারে এ বিষয়ে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।

ফল বা শাকসবজি যেগুলো আপনি খাবেন সেগুলো কাটার আগে খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। কারণ ফলে থাকা জীবাণুগুলো আপনার শরীরে গিয়ে আপনার সন্তানের ক্ষতি করতে পারে। আপনার যদি মনে হয় কল এবং শাকসবজির পরিমাণ বাড়িয়ে খেতে হবে তাহলে আপনি সেগুলোকে অন্যান্য মিলের সাথে যোগ করে খেতে পারেন। আবার আপনি সবজিগুলোকে ওমলেট বানিয়ে খেতে পারেন। আপনি যদি এইভাবে নিয়মমাফিক চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার গর্ভের সন্তান সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে জন্ম নিতে পারবে।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় এ বিষয় নিয়ে ভাবছেন। এ বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই। আপনি একটু সাবধানতা বা একটু নিয়মমাফিক  চললে আপনার সন্তান গর্ভাবস্থায় বুদ্ধিমান এবং মেধাবী হয়ে উঠবে।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় এর জন্য আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে। এবং সেই খাবারগুলো প্রতিদিন নিয়মমাফিক খেতে হবে। আপনার খাদ্য তালিকায় ভিটামিন প্রোটিন, আয়োডিন ইত্যাদি খাদ্যগুলো রাখতে হবে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url